চৌম্বকীয় জননেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু জাগিয়ে তোলেন শহরবাসীকে, তিনমাস পর আবারও শোনা যাবে ট্রেনের হুইসেল।
হারুন অর রশিদ খান হাসান-সভাপতি, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব।
—–দীর্ঘ তিনমাসের অধীক সময়ের পর সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা কমলাপুর রুটে জেলাবাসীর সবে ধন নীলমণি সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আবারও আগের সময়সূচি অনুযায়ী চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ কর্তৃপক্ষ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৫ নভেম্বর সকালে সিরাজগঞ্জ শহরবাসী আবারও শুনতে পাবে ট্রেনের হুইসেল। এতে খুশিতে ভাসছে শহরবাসী। তাদের এই খুশীর অন্তরালে রয়েছে এক চুম্বকীয় জননেতা,যার নাম সাইদুর রহমান বাচ্চু।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র গণআন্দোলনে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ও পলায়নে দেশান্তরি হলে সিরাজগঞ্জ বাসীর ট্রেন ভ্রমণের একমাত্র ট্রেন সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসটি অদৃশ্য কালো হাতের ছোবলে বন্ধ হয়ে যায়। জেলাবাসী আবারও হতাশায় নিমজ্জিত হয়। তাদের হতাশা দুর করতে এগিয়ে আসেন জনতার মেয়রখ্যাত বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চালু করতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে সংবাদপত্র সম্মেলন করে আন্দোলনের ডাক দেন। বেঁধে দেন সময়সীমা। ম্যাজিক লিডার সাইদুর রহমান বাচ্চুর ডাকে চুম্বকীয় আকষর্ণের মতো সকল শ্রেণী পেশার মানুষ বিশেষ করে সাংস্কৃতিককর্মী আইনজীবী, সাংবাদিক ,স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকরা সেই আন্দোলনে সাড়া দিয়ে সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রা, মিছিল,একাধিক মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে অংশ নেন। জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীরা এই আন্দোলনে শরীক হন। আন্দোলনের পাশাপাশি, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন চুম্বকীয় নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসন্ন।
উল্লেখ্য, ১৯১৫-১৬ সালে সিরাজগঞ্জে রেলওয়ের যাত্রা শুরু। বানিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে সিরাজগঞ্জ ঘাট রেলওয়ে স্টেশন তৈরী করা হয়। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে একমাত্র সিরাজগঞ্জ শহরেই রায়পুর, বাজার স্টেশন , বাহিরগোলা এবং সিরাজগঞ্জ ঘাট রেলওয়ে স্টেশন নামে চারটি রেল স্টেশন ছিল। কালের বিবর্তনে বাহিরগোলা ও সিরাজগঞ্জ ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর সিরাজগঞ্জ শহর অনেকাংশেই রেল সংযোগ থকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে সিরাজগঞ্জ জেলা দেশের অন্যতম ‘রেলসিটি’ হিসেবে পরিচিত ছিল। তখন সিরাজগঞ্জ হতে খুলনা দিবারাত্রি দুটি ট্রেন চালু ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ পথে ‘ঝটিকা’ নামে আরও একটি ট্রেন চালু হয়। ফলে খুলনাগামী ট্রেনের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের মানুষ ঈশ্বরদী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া প্রভৃতি জেলায় যাতায়াত এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুবিধা ভোগ করে আসছিল।
কালের বিবর্তনে আন্দোলন সংগ্রামে সবে ধন নীলমণির মতো সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চালু হলেও এসি বগি বন্ধ ও আন্তঃনগর হয়েও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল করতো লোকাল ট্রেনের মতো। সিরাজগঞ্জবাসী চুম্বকীয় নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চুকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তারা আশা করছে আন্তঃনগর ট্রেনের মর্যাদা নিয়েই যেন চলাচল করে সবে ধন নীলমণি ” সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস। ”
১১.১১.২০২৪