সিরাজগঞ্জে ড্রাগন চাষে সফল হয়েছেন পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিস আলী
স্টাফ রিপোর্টার- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ব্রহ্মখোলা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিস আলী৷ তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও তার নেশা শুধু নতুন নতুন ফল ফলানোর৷ ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন ইদ্রিস আলী৷
ইদ্রিস আলী নানান চিন্তাভাবনা করে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে ড্রাগন ফল চাষ করবে৷ তার সেই চিন্তার ধারাবাহিকতায় সে খুঁজতে শুরু করে উন্নত জাতের ড্রাগন৷ বেশ কিছুদিন চারদিকে বেশ কিছু উদ্যোক্তার পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে বাউ-৩ জাতের ড্রাগন চাষ শুরু করবেন৷ ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় ০২ বিঘা জমিতে বাউ-০৩ জাতের ড্রাগন চাষ শুরু করেন ৷
সরেজমিনে গিয়ে পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিস আলীর সাথে কথা বললে তিনি আমাদের বলেন, আগে অন্য সব ফসল চাষ করতাম কিন্তু দেখলাম ড্রাগন ফল একবার চাষ করলে ২০-২৫ বছর গাছের পরিচর্চা করলে গাছ থেকে ফল পাওয়া সম্ভব৷ এটা শুধুমাত্র ভালোভাবে পরিচর্যা করলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব৷ আর এখানে যেহেতু আমার বারবার টাকা খরচ করতে হয় না তাই লাভবান হওয়ার আশা অনেকটাই বেশি।
তিনি আরও বলেন, ড্রাগন চাষের সময় উন্নত জাত বাছাই করলে ড্রাগন চাষে অবশ্যই সফলতা অর্জন করা সম্ভব৷ আর এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার ব্যবহার করতে হয় এবং ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিলে হালকা পরিসরে ছত্রাক নাশক কীটনাশক স্প্রে করে দিলে ফলের কোন ক্ষতি হবে না।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, এই এলাকায় ইদ্রিস আলীই সর্বপ্রথম ড্রাগন চাষ শুরু করেন এবং সে খুবই লাভবান হয়েছেন৷ আর এখন এটা চাষ করা দেখে অনেকেই ড্রাগন চাষ করার কথা ভাবছেন৷
স্থানীয় এক কৃষকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা আগে আমাদের ফসলি জমিতে ধান চাষ করতাম কিন্তু ইদ্রিস আলীর ড্রাগন চাষ করা দেখে ভাবতেছি আমিও ড্রাগন চাষ শুরু করব।
ইদ্রিস আলী আরোও বলেন আমার দুই বিঘা জমিতে চাষ করা শুরু থেকে ফল আসা পর্যন্ত খুঁটি, শ্রমিক, জাল, কীটনাশক ও সার প্রয়োগে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫-৬ লক্ষ টাকা৷ আর আমি আশা করছি এবার আমার ২ লক্ষ টাকার অধিক লাভ হবে।