সিরাজগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী বিশ্ব নৃত্য দিবস ও নৃত্য উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত
মোঃ হোসেন আলী (ছোট্ট)- “বিশ্ব নাচে ছন্দময়, আসবে শান্তি কাটবে ভয়’-প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে আনন্দ মূখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে
” বিশ্ব নৃত্য দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে পৌর ভাসানী মিলনায়তনে তিন দিন ব্যাপী নৃত্য উৎসবে সমাপনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা সন্মাননা স্মারক ও দুজন কৃতি গুণী সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ( ২৯ এপ্রিল) সন্ধায় সিরাজগঞ্জ শহরের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থা সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা ও আনন্দধারা নৃত্য কলা একাডেমি আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী এই উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি ডাঃ কার্তিক চন্দ্র বর্মণ এর সভাপতিত্বে ও আনন্দধারা নৃত্য কলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনদিন ব্যাপী বিশ্ব নৃত্য দিবস ও নৃত্য উৎসবের উপরে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন ও সন্মাননা স্মারক ক্রেস্ট হাতে তুলেদেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু
বলেন, ‘বাংলাদেশের নাচকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের দেশের শিল্পীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না বাড়ালে খরচসাপেক্ষ এই শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে।’ সুষ্ঠ সাংস্কৃতির কোন বিকল্প নেই। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা, বিশেষ প্রয়েলোজন রয়েছে। সুন্দর সমাজ গঠনে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার বিকল্প নেই। বাঙালি জাতির সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাস রয়েছে।এসব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশিয় সংস্কৃতি বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি খ, ম রকিবুল হাসান রতন, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ- সভাপতি নাট্য অভিনেতা হীরুকগুণ, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী সাইফুল ইসলাম, সংগীত শিল্পী হিসেবে সন্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় কন্ঠ শিল্পী হিসেবে জুবায়ের জিকো, ও রাজশাহী নৃত্য শিল্পী হিসেবে গুরু মহনা কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য ঃ ১৯৮২ সালে নৃত্য দিবস ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব নৃত্য দিবস।দিনটি উদযাপন করা হয় ব্যালে নৃত্যের স্রষ্টা জ্যঁ জস নুভেরের জন্মদিনে। এই মহান শিল্পীকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৮২ সালে ইউনেস্কো ২৯ এপ্রিলকে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস হিসেবে নির্ধারণ করে।